Home » » নেটওয়ার্কিং কী ও কেন ? ( What is networking & Why )

নেটওয়ার্কিং কী ও কেন ? ( What is networking & Why )

Written By Md Monarul Islam on Saturday, February 6, 2016 | 1:08 PM

 বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

সবাইকে সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। গত পর্বে বলেছিলাম আজকের পর্ব থেকে ইনশা-আল্লাহ্‌ আমরা নেটওয়ার্কিং শুরু করবো। অবশেষে শুরু করতে পারলাম আর এজন্য মহান আল্লাহ্‌ তা'য়ালাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি এগুলো আপনাদের অনেক কাজে আসবে।
আজকের পর্বে আমরা নেটওয়ার্কিং এর বেসিক কিছু ইনফরমেশন ও তার সাথে নেটওয়ার্ক তৈরির এবং ইন্টারনেটের ইতিহাস জানব। এর মধ্যে থাকবে -
  • নেটওয়ার্কিং কী ও কেন ?
  • নেটওয়ার্কিং এর মূল ধারণা
  • নেটওয়ার্কের উৎপত্তি
  • ইন্টারনেটের উৎপত্তি

নেটওয়ার্কিং কী ও কেন ?

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

দৈনন্দিন জীবনে আমরা নেটওয়ার্ক কথাটি শুনে থাকি। নেটওয়ার্ক হলো এমন একটি সিস্টেম যেখানে সবাই মিলে তথ্য শেয়ার করা যায় বা একসাথে কাজ করা যায়। একটি কম্পিউটার যখন এক বা একাধিক কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত হয়ে তথ্য আদান-প্রদান করে তখন বলা হয় সেই কম্পিউটারটি নেটওয়ার্কের অংশ। নেটওয়ার্ক করার জন্য ন্যূনতম দুটি কম্পিউটার দরকার পড়বে। এসব কম্পিউটার পরস্পর তথ্য আদান প্রদানের জন্য বিশেষভাবে বিশেষ ডিভাইসের মাধ্যমে একটি আরেকটির সাথে যুক্ত হয়। এছাড়া এক কম্পিউটার অন্য কম্পিউটারের সাথে কীভাবে যোগাযোগ গড়বে, কী হবে তাদের ভাষা, ইত্যাদি নিয়মকানুন আগেই নির্দিষ্ট করা থাকে।


 চিত্র ১.১ - খুবই সাধারণ একটি নেটওয়ার্ক। কম্পিউটার, সার্ভার এবং প্রিন্টার কে একটি হাব অথবা সুইচ দিয়ে সংযোগ করে একটি ছোট নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে।

নেটওয়ার্কিং এর মূল ধারণা

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

আমাদের দৈনন্দিন কাজসমূহকে সহজ করার জন্যই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়। দুটি কম্পিউটারকে যখন নেটওয়ার্কে নিয়ে আসা হয় তখন আমরা যে প্রধান সুবিধা পাই তা হলো দুটি কম্পিউটার পরস্পরের রিসোর্স শেয়ার করতে পারে। রিসোর্স বলতে এখানে তথ্য এবং হার্ডওয়্যার দুটোই বোঝায়। এক কম্পিউটারে রক্ষিত ডাটা বা তথ্য অন্য কম্পিউটার থেকে দেখা যেতে পারে যদি সেই তথ্য শেয়ার করা থাকে এবং উপযুক্ত পারমিশন দেয়া হয়। তেমনি এক কম্পিউটারের সাথে যুক্ত হার্ডওয়্যার ডিভাইস, যেমন - প্রিন্টার, সিডিরম ড্রাইভ, হার্ডডিস্ক স্পেস ইত্যাদি অন্য কম্পিউটারের সাথে শেয়ার করা যেতে পারে। তার মানে আপনার নেটওয়ার্কে একটি প্রিন্টার থাকলে নেটওয়ার্কের সব মেশিন সেটি ব্যবহার করতে পারবে। নেটওয়ার্কিং এর প্রধান সুবিধা এটি এবং এর জন্যই আমরা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করি। কেবল হার্ডডিস্ক কিংবা ডিভাইস শেয়ার করা নয়, মূল গুরুত্ব দেয়া হয় তথ্য শেয়ারিঙের উপর।
নেটওয়ার্ক ব্যবহারের আগে এক কম্পিউটারের সাথে আরেক কম্পিউটারের তথ্য বিনিময়ের তেমন সুবিধা ছিল না। যেমন ধরা যাক, আপনি একটি ওয়ার্ড ডকুমেন্ট তৈরি করলেন কোনো একটি কম্পিউটারে যার সাথে প্রিন্টার সংযুক্ত নেই। এখন সেই ডকুমেন্টকে প্রিন্ট দিতে চাইলে এমন কম্পিউটারে যেতে হবে যেখানে প্রিন্টার যুক্ত আছে। সেই ফাইলটি ওই প্রিন্টার যুক্ত মেশিনে নেয়ার জন্য সাধারণত পেনড্রাইভ বা পোর্টেবল হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা হয় (অনেক আগে ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার করা হতো)। প্রথম কম্পিউটার থেকে সেই ফাইলটি পেনড্রাইভ এর মাধ্যমে দ্বিতীয় কম্পিউটারে নিতে হবে এবং সেখান থেকে প্রিন্ট দিতে হবে। এরকম সবাই যদি প্রিন্ট দিতে চায় তাহলে তা খুবই অসুবিধাজনক পরিস্থিতির দিকে মোড় নেবে। এভাবে প্রিন্টার যুক্ত নেই এমন কম্পিউটার থেকে ফাইল নিয়ে প্রিন্টার যুক্ত কম্পিউটারে যাওয়াকে ব্যঙ্গ করে বলা হয় স্নিকারনেট (sneakernet)। এই স্নিকারনেট অসুবিধা থেকে বাঁচার জন্য অনেক সময় প্রত্যেক কম্পিউটারের সাথে ভিন্নভাবে ডিভাইস দেয়া হতো যা ছিল অত্যন্ত ব্যায়বহুল।

চিত্র  ১.২ - বিভিন্ন ধরণের কম্পিউটার এখানে যুক্ত আছে। সার্ভারের সাথে যুক্ত প্রিন্টার এবং ইন্টারনেট কানেকশন অন্যরাও ব্যবহার করতে পারবে।


কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ধরে নেয়া হয় অবশ্যই এক পক্ষ হবে প্রেরক আর অন্য পক্ষ গ্রাহক। প্রেরক বা উৎস কম্পিউটার হলো সেই কম্পিউটার যে অন্য কোনো কম্পিউটারের নিকট তথ্য পাঠাতে চায়। আর যেই কম্পিউটারের নিকট তথ্য পাঠানো হবে সেটি হলো গ্রাহক বা গন্তব্য। নেটওয়ার্কে কেবল কম্পিউটারই যে একটি আরেকটির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করবে তা নয়। অন্য ডিভাইস যেমন - নেটওয়ার্ক প্রিন্টার, একটি আরেকটির সাথে যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। নেটওয়ার্কের মাঝে কোনো কম্পিউটার, প্রিন্টার কিংবা অন্য যে কোনো ডিভাইস যা তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে তাকে বলা হয় নোড (node) বা ডিভাইস (device)।
কোনো নেটওয়ার্কে বিভিন্ন ডিভাইস একটি আরেকটির নিকট তথ্য পাঠাতে চাইলে অবশ্যই একটি মাধ্যম দরকার পড়বে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডিভাইসসমূহকে যুক্ত করার জন্য ক্যাবল (cable) বা তার ব্যবহার করা হয়। একটি লম্বা ক্যাবলের সাথে বিভিন্ন ডিভাইস সিরিয়্যালি যুক্ত থাকতে পারে, অথবা সকল ডিভাইস থেকে একটি করে ক্যাবল নিয়ে কোন সেন্ট্রাল লোকেশনে যুক্ত করা যেতে পারে। এসব ক্যাবল সাধারণত কপার বা তামার হয়ে থাকে। এগুলি ফোন লাইনের ক্যাবলের মতোই তবে বেশ উঁচুমানের। তামার তার ছাড়াও অন্য ধরনের মাধ্যমও রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কাঁচ ও প্লাস্টিক হতে তৈরি ক্যাবল। এসব ক্যাবল ছাড়াও বর্তমানে বাতাসকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে ডিভাইসসমূহকে যুক্ত করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। এটি করা হচ্ছে রেডিও কিংবা মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে।
যখন একাধিক নেটওয়ার্ক একটি আরেকটির সাথে সংযোগ গড়তে পারে, এবং সংযোগ গড়ে তখন তাকে বলা হয় ইন্টারনেটওয়ার্ক (internetwork)। বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে কোনো নেটওয়ার্ককে অন্য নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করার পদ্ধতিই হলো ইন্টারনেটওয়ার্কিং (internetworking)। যদি দুটি ডিভাইস ভিন্ন ভিন্ন প্রটোকল ব্যবহার করে তাহলেও ইন্টারনেটওয়ার্কিং ডিভাইস ব্যবহার করে সে ডিভাইস দুটির মাঝে সংযোগ গড়া সম্ভব।
Share this article :

1 comments:

লেখাটি আমার এক্সপার্ট নেটওয়ার্কিং বই থেকে হবহু তুলে দেয়া। কোথাও সামান্য সূত্র উল্লেখ দেখলাম না। দয়া করে আসল লেখকের নিকট কৃতজ্ঞতা স্বীকার করুন কিংবা মুছে ফেলুন।

Featured Post

নেটওয়ার্কিং কী ও কেন ? ( What is networking & Why )

  “ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ” সবাইকে সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। গত পর্বে বলেছিলাম আজকের পর্ব থেকে ইনশা-আল্লাহ্‌ আমরা নেটও...

 
Support : Develop Team -IT Section
Copyright © 2015. MONIR IT || a free technology academy - All Rights Reserved
Template Edit by Kazipur IT and Kazipur Forum Published By KIT Developer Team
Notification